قائمة الأحاديث

‌أَلَا ‌أُنَبِّئُكُمْ بِأَكْبَرِ الْكَبَائِرِ؟

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সবচেয়ে বেশি পড়া দো‘আ হলো, হে আমাদের রব, আমাদেরকে দুনিয়াতে কল্যাণ দিন। আর আখিরাতেও কল্যাণ দিন এবং আমাদেরকে আগুনের আযাব থেকে রক্ষা করুন।

إِذَا أَحَبَّ الرَّجُلُ أَخَاهُ فَلْيُخْبِرْهُ أَنَّهُ يُحِبُّهُ

যখন কোনো সম্প্রদায়ের লোক কোনো মজলিসে বসে আর তাতে আল্লাহর যিকির না করে এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর সালাত না পড়ে, কিয়ামতের দিন তা তাদের জন্য হতাশা ও আফসোসের কারণ হবে।

الْكَبَائِرُ: الْإِشْرَاكُ بِاللهِ، وَعُقُوقُ الْوَالِدَيْنِ، وَقَتْلُ النَّفْسِ، وَالْيَمِينُ الْغَمُوسُ

যে ব্যক্তি মানুষকে হাসানোর জন্য মিথ্যা কথা বলে, তার জন্য রয়েছে ধ্বংস, অতঃপর তার জন্য ধ্বংস।

السَّاعِي عَلَى الأَرْمَلَةِ وَالمِسْكِينِ، كَالْمُجَاهِدِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ، أَوِ القَائِمِ اللَّيْلَ الصَّائِمِ النَّهَارَ

সেই আল্লাহর সমস্ত প্রশংসা যিনি আমাদেরকে পানাহার করিয়েছেন, তিনি আমাদের জন্য যথেষ্ট হয়েছেন এবং আশ্রয় দিয়েছেন। অথচ কত এমন লোক আছে যাদের যথেষ্ট-কারী ও আশ্রয়দাতা নেই।

اجْتَنِبُوا السَّبْعَ الْمُوبِقَاتِ

আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম অল্প শব্দে বহুল অর্থবোধক দো‘আ পছন্দ করতেন এবং তা ছাড়া অন্য দো‘আ পরিহার করতেন।

أَنَا أَغْنَى الشُّرَكَاءِ عَنِ الشِّرْكِ، مَنْ عَمِلَ عَمَلًا أَشْرَكَ فِيهِ مَعِي غَيْرِي تَرَكْتُهُ وَشِرْكَهُ

তিন জনের দো‘আ গ্রহণযোগ্য, তাতে কোনো সন্দেহ নেই, অত্যাচারিতের দো‘আ।

لَا تَجْعَلُوا بُيُوتَكُمْ قُبُورًا، وَلَا تَجْعَلُوا قَبْرِي عِيدًا، وَصَلُّوا عَلَيَّ؛ فَإِنَّ صَلَاتَكُمْ تَبْلُغُنِي حَيْثُ كُنْتُمْ

ওহে, আমি কি তোমাদের জানাবো চোগলখুরী কী? চোগলখুরী হচ্ছে মানুষের মাঝে কথা চালাচালি।

أَدْخَلَهُ اللهُ الْجَنَّةَ عَلَى مَا كَانَ مِنَ الْعَمَلِ

তোমাদের কেউ বলবে না: হে আল্লাহ যদি তুমি চাও আমাকে ক্ষমা কর। হে আল্লাহ যদি তুমি চাও আমাকে রহম কর। বরং তার উচিৎ নিশ্চিতভাবেই প্রার্থনা করা। কারণ, আল্লাহকে বাধ্যকারী কেউ নেই।

مَنْ لَقِيَ اللهَ لَا يُشْرِكُ بِهِ شَيْئًا دَخَلَ الْجَنَّةَ، وَمَنْ لَقِيَهُ يُشْرِكُ بِهِ دَخَلَ النَّارَ

আর নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে রোগীকেই সাক্ষাৎ করতে যেতেন, তাকে বলতেন, অর্থাৎ, কোন ক্ষতি নেই, (গোনাহ থেকে) পবিত্র হবে, ইনশাআল্লাহ।

مَنْ يَضْمَنْ لِي مَا بَيْنَ لَحْيَيْهِ وَمَا بَيْنَ رِجْلَيْهِ أَضْمَنْ لَهُ الْجَنَّةَ

যার অন্তরে অণু পরিমাণও অহংকার থাকবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না।

أَفْضَلُ الذِّكْرِ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ، وَأَفْضَلُ الدُّعَاءِ: الْحَمْدُ لِلهِ

দু’জন মুসলিম পরস্পর সাক্ষাৎ করার পর যখন মুসাফাহা করে, তখন তাদের বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগেই তাদের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।

الْجَنَّةُ أَقْرَبُ إِلَى أَحَدِكُمْ مِنْ شِرَاكِ نَعْلِهِ، وَالنَّارُ مِثْلُ ذَلِكَ

যদি তুমি মুসলিমদের গুপ্ত দোষগুলো খুঁজে বেড়াও, তাহলে তুমি তাদেরকে নষ্ট করে দিবে অথবা তাদেরকে নষ্ট করার উপক্রম করবে।

الصَّلَوَاتُ الْخَمْسُ، وَالْجُمُعَةُ إِلَى الْجُمُعَةِ، وَرَمَضَانُ إِلَى رَمَضَانَ، مُكَفِّرَاتٌ مَا بَيْنَهُنَّ إِذَا اجْتَنَبَ الْكَبَائِرَ

যে ব্যক্তি কারো স্ত্রীকে তার স্বামীর বিরুদ্ধে অথবা ক্রীতদাসকে তার মনিবের বিরুদ্ধে উত্তেজিত করে সে আমাদের দলভুক্ত নয়।

مَا يُصِيبُ الْمُسْلِمَ مِنْ نَصَبٍ وَلَا وَصَبٍ وَلَا هَمٍّ وَلَا حُزْنٍ وَلَا أَذًى وَلَا غَمٍّ حَتَّى الشَّوْكَةِ يُشَاكُهَا إِلَّا كَفَّرَ اللهُ بِهَا مِنْ خَطَايَاهُ

ঘন্টা বা ঘুঙুর শয়তানের বাঁশি।

حُجِبَتِ النَّارُ بِالشَّهَوَاتِ، وَحُجِبَتِ الْجَنَّةُ بِالْمَكَارِهِ

প্রকৃত মুসলিম সে, যার মুখ ও হাত থেকে সকল মুসলিম নিরাপদ থাকে। আর প্রকৃত মুহাজির সে, যে আল্লাহ যা থেকে নিষেধ করেছেন তা ত্যাগ করে।

حَقُّ الْمُسْلِمِ عَلَى الْمُسْلِمِ خَمْسٌ: رَدُّ السَّلَامِ، وَعِيَادَةُ الْمَرِيضِ، وَاتِّبَاعُ الْجَنَائِزِ، وَإِجَابَةُ الدَّعْوَةِ، وَتَشْمِيتُ الْعَاطِسِ

কুরআন তিলাওয়াতকারী এবং এতে দক্ষ ব্যক্তি সম্মানিত পূণ্যবানদের সাথে থাকবেন (জান্নাতে)। আর যে ব্যক্তি ভেঙ্গে ভেঙ্গে অতি কষ্ট হওয়া সত্ত্বেও কুরআন তিলাওয়াত করে, সে দ্বিগুণ পুরস্কার পাবে।

رَحِمَ اللهُ رَجُلًا سَمْحًا إِذَا بَاعَ، وَإِذَا اشْتَرَى، وَإِذَا اقْتَضَى

যে ব্যক্তি আমাদের ছোটদের প্রতি দয়া করে না এবং আমাদের বড়দের সম্মান জানে না সে আমার দলভুক্ত নয়।

كان رجلٌ يُدَايِنُ الناسَ، فكان يقول لفتاه: إذا أتيتَ مُعسِرًا فتجاوز عنه، لعل اللهَ يَتجاوزُ عنا

মিসকীন সে নয়, যাকে একটি খেজুর এবং দু’টি খেজুর এবং এক গ্রাস বা’ দুই গ্রাস (অন্ন) দেওয়া হয়, বরং মিসকীনতো ঐ ব্যক্তি(অভাব থাকা সত্বেও) চাওয়া থেকে দূরে থাক।

من خَرج في طلب العلم فهو في سَبِيلِ الله حتى يرجع

কোনো মুসলিম তার ভাইয়ের জন্য তার অবর্তমানে দো‘আ করলে কবুল করা হয়। তার মাথার নিকট একজন ফিরিশতা নিয়োজিত থাকেন, যখনই সে তার ভাইয়ের জন্য নেক দো‘আ করে, তখনই নিয়োজিত ফিরিশতা বলেন, ‘আমীন এবং তোমার জন্যও অনুরূপ।

إِذَا الْتَقَى الْمُسْلِمَانِ بِسَيْفَيْهِمَا فَالْقَاتِلُ وَالْمَقْتُولُ فِي النَّارِ

তোমাদের দুর্বলদের কারণেই তোমাদেরকে সাহায্য করা হয় এবং রুযী দেওয়া হয়।

إِنَّ الْحَلَالَ بَيِّنٌ وَإِنَّ الْحَرَامَ بَيِّنٌ

দুনিয়া হলো মু’মিনের জেলখানা আর কাফিরের জান্নাত

إِنَّ اللهَ كَتَبَ الْإِحْسَانَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ

নিশ্চয় আল্লাহর সর্বাধিক নিকটবর্তী মানুষ সেই, যে প্রথমে সালাম দেয়।

إِنَّ اللهَ لَا يَنْظُرُ إِلَى صُوَرِكُمْ وَأَمْوَالِكُمْ، وَلَكِنْ يَنْظُرُ إِلَى قُلُوبِكُمْ وَأَعْمَالِكُمْ

সর্বোত্তম ব্যক্তি হলো সে ব্যক্তি যে দীর্ঘায়ু পেয়েছে এবং উত্তম আমল করেছে।

إِنَّمَا الْأَعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ، وَإِنَّمَا لِكُلِّ امْرِئٍ مَا نَوَى

এমন অনেক আলুথালু কেশধারী ধুলো-মলিন চেহারা বিশিষ্ট, দ্বার থেকে বিতাড়িত ও নিগৃহীত ব্যক্তি রয়েছে, যারা আল্লাহর নামে শপথ করলে আল্লাহ তা সত্যে পরিণত করে দেন।

لَا تَغْضَبْ

হে আল্লাহ! আখিরাতের জীবন ছাড়া আর কোনো জীবন নয়

لَو أَنَّكُمْ تَتَوَكَّلُونَ عَلَى اللهِ حَقَّ تَوَكُّلِهِ، لَرَزَقَكُمْ كَمَا يَرْزُقُ الطَّيْرَ، تَغْدُو خِمَاصًا وَتَرُوحُ بِطَانًا

নিশ্চয় আল্লাহর যিকির এবং তাঁর সাথে সংশ্লিষ্ট সহায়ক অপরাপর আমল, আলিম এবং তালিবে ইলম ছাড়া দুনিয়া ও দুনিয়াতে যা কিছু আছে সব-ই অভিশপ্ত।

أَذْنَبَ عَبْدٌ ذَنْبًا، فَقَالَ: اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي ذَنْبِي

সম্পদের আধিক্য ধনাঢ্যতা নয়, প্রকৃত ধনাঢ্যতা হল অন্তরের ধনাঢ্যতা।

إِنَّ الْمُقْسِطِينَ عِنْدَ اللهِ عَلَى مَنَابِرَ مِنْ نُورٍ، عَنْ يَمِينِ الرَّحْمَنِ عَزَّ وَجَلَّ، وَكِلْتَا يَدَيْهِ يَمِينٌ

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট কোনো কিছু চাওয়া হলে তিনি কখনো না বলতেন না।

مَنْ يُحْرَمِ الرِّفْقَ يُحْرَمِ الْخَيْرَ

যে ব্যক্তি বলবে, سُبحان الله وبِحَمْدِه তার জান্নাতে একটি খেজুর গাছ রোপন করা হবে।

أَتَدْرُونَ مَا الْغِيبَةُ؟»، قَالُوا: اللهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ، قَالَ: «ذِكْرُكَ أَخَاكَ بِمَا يَكْرَهُ

তোমরা তোমাদের খাবারে জড়ো হও এবং ‘বিসমিল্লাহ’ বলো, তাহলে তাতে তোমাদের জন্য বরকত দান করা হবে।

إِنَّ رِجَالًا يَتَخَوَّضُونَ فِي مَالِ اللهِ بِغَيْرِ حَقٍّ، فَلَهُمُ النَّارُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ

যে ব্যক্তি মানুষকে পান করায় সে সবার শেষে পান করবে।

إِيَّاكُمْ وَالظَّنَّ؛ فَإِنَّ الظَّنَّ أَكْذَبُ الْحَدِيثِ

আল্লাহর সন্তুষ্টি মাতা-পিতার সন্তুষ্টির মধ্যে, আর আল্লাহর অসন্তুষ্টি মাতা-পিতার অসন্তুষ্টিতে।

كل بني آدم خطاء، وخير الخطائين التوابون

সফর হলো শাস্তির অংশ।

كُلُّ مَعْرُوفٍ صَدَقَةٌ

স্থায়ী সৎকর্মসমূহ হল, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, সুবাহানাল্লাহ, আল্লাহু আকবর, আল-হামদু লিল্লাহ আর লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ

لَا تَحْقِرَنَّ مِنَ الْمَعْرُوفِ شَيْئًا، وَلَوْ أَنْ تَلْقَى أَخَاكَ بِوَجْهٍ طَلْقٍ

একজন মু’মিন তার মু’মিন ভাইয়ের আয়নাস্বরূপ

لَيْسَ الشَّدِيدُ بِالصُّرَعَةِ، إِنَّمَا الشَّدِيدُ الَّذِي يَمْلِكُ نَفْسَهُ عِنْدَ الْغَضَبِ

যে নিজেকে বড় মনে করে এবং চলার পথে অহংকার করে, সে আল্লাহর সাথে এমতাবস্থায় সাক্ষাৎ করবে যে, তিনি তার ওপর ক্ষুব্ধ থাকবেন।

مَنْ دَلَّ عَلَى خَيْرٍ فَلَهُ مِثْلُ أَجْرِ فَاعِلِهِ

হে আল্লাহ, মানবমণ্ডলীর রব্ব। সমস্যা দূর করে দিন, আরোগ্য প্রদান করুন। আপনিই তো একমাত্র আরোগ্য প্রদানকারী।

لَا تَسُبُّوا الْأَمْوَاتَ، فَإِنَّهُمْ قَدْ أَفْضَوْا إِلَى مَا قَدَّمُوا

আনাস ইবন মালিক রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু একবার বাচ্চাদের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন তিনি তাদেরকে সালাম দিলেন এবং তিনি বললেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এভাবে করতেন (অর্থাৎ তিনিও বাচ্চাদেরকে সালাম দিতেন)।

لَا يَحِلُّ لِرَجُلٍ أَنْ يَهْجُرَ أَخَاهُ فَوْقَ ثَلَاثِ لَيَالٍ، يَلْتَقِيَانِ، فَيُعْرِضُ هَذَا وَيُعْرِضُ هَذَا، وَخَيْرُهُمَا الَّذِي يَبْدَأُ بِالسَّلَامِ

সে ব্যক্তি সফলকাম যে ইসলাম গ্রহণ করেছে এবং তাকে পরিমিত রুযী দেওয়া হয়েছে আর আল্লাহ তাকে যা দিয়েছেন তাতে তাকে তুষ্ট করেছেন।

لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ قَاطِعُ رَحِمٍ

তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি ভোর করেছে এমতাবস্থায় যে সে তার গৃহ-পরিবারে নিরাপদে আছে, দেহে সুস্থতা রয়েছে আর তার কাছে সে দিনের খাবারও রয়েছে, তাহলে তার জন্য যেন গোটা দুনিয়াই একত্র করা হলো।

لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ قَتَّاتٌ

তোমরা রাতে সফর কর। কেননা রাতে যমীনকে গুটিয়ে দেওয়া হয়।

مَنْ أَحَبَّ أَنْ يُبْسَطَ لَهُ فِي رِزْقِهِ، وَيُنْسَأَ لَهُ فِي أَثَرِهِ، فَلْيَصِلْ رَحِمَهُ

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম সফরে পিছনে চলতেন। তিনি দুর্বলকে চলতে সাহায্য করতেন, তাকে পিছনে বসিয়ে নিতেন এবং তার জন্য দো‘আ করতেন।

أَقْرَبُ مَا يَكُونُ الْعَبْدُ مِنْ رَبِّهِ وَهُوَ سَاجِدٌ، فَأَكْثِرُوا الدُّعَاءَ

তোমরা আল্লাহর নিকট মুসীবতের কাঠিন্য, অনিষ্টের স্পর্শ, খারাপ তাকদীর ও শত্রুর উপহাস থেকে পানাহ চাও।

مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ فَلْيَقُلْ خَيْرًا أَوْ لِيَصْمُتْ

তোমরা রুগী দেখতে যাও, ক্ষুধার্তকে অন্ন দাও এবং বন্দীকে মুক্ত কর।

مَنْ لَا يَرْحَمِ النَّاسَ لَا يَرْحَمْهُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ

এক লোক রাস্তার উপর পরে থাকা একটি গাছের ডালের পাশ দিয়ে অতিক্রম করল।সে বলল, আল্লাহর কসম! এটি আমি অবশ্যই দূরে সরিয়ে ফেলব। যেন এর কারণে মুসলিমগণ কষ্ট না পায়। ফলে আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করালেন।

إِنَّ أَبْغَضَ الرِّجَالِ إِلَى اللهِ الْأَلَدُّ الْخَصِمُ

গালাগালিতে রত দু’জন ব্যক্তি যে সব কুবাক্য উচ্চারণ করে, সে সব তাদের মধ্যে সূচনাকারীর উপরে বর্তায়; যতক্ষণ না অত্যাচারিত ব্যক্তি (প্রতিশোধ গ্রহণে) সীমা অতিক্রম করে।

أَحَبُّ الْكَلَامِ إِلَى اللهِ أَرْبَعٌ: سُبْحَانَ اللهِ، وَالْحَمْدُ لِلهِ، وَلَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ، وَاللهُ أَكْبَرُ، لَا يَضُرُّكَ بِأَيِّهِنَّ بَدَأْتَ

সাওম পালনকারীগণ তোমাদের কাছে ইফতার করুক, নেককার লোকেরা তোমাদের খানা খাক, আর ফিরিশতাগণ তোমাদের উপর রহমত প্রেরণ করুক।

سُئِلَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ أَكْثَرِ مَا يُدْخِلُ النَّاسَ الْجَنَّةَ، فَقَالَ: «تَقْوَى اللهِ وَحُسْنُ الْخُلُقِ

“আল্লাহ তা‘আলা যে ব্যক্তিকে তার দুই চোয়ালের মধ্যস্থিত অঙ্গ (জিহ্বা) ও দু’পায়ের মাঝখানের অঙ্গ (লজ্জাস্থান) এর ক্ষতি থেকে মুক্ত রাখবেন, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।”

الْحَيَاءُ مِنَ الْإِيمَانِ

হানাহানির সময় ইবাদত করা আমার দিকে হিজরত করার সমতুল্য।

الدُّعَاءُ هُوَ الْعِبَادَةُ

হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি তোমার নিকট হেদায়াত, পরহেযগারী, অশ্লীলতা হতে পবিত্রতা এবং সচ্ছলতা প্রার্থনা করছি।

عَلَيْكُمْ بِالصِّدْقِ، فَإِنَّ الصِّدْقَ يَهْدِي إِلَى الْبِرِّ، وَإِنَّ الْبِرَّ يَهْدِي إِلَى الْجَنَّةِ

তোমরা কুরআন মাজীদ পাঠ কর। কেননা কিয়ামতের দিন কুরআন, তার পাঠকের জন্য সুপারিশকারী হিসাবে আগমন করবে।

كَلِمَتَانِ خَفِيفَتَانِ عَلَى اللِّسَانِ، ثَقِيلَتَانِ فِي الْمِيزَانِ، حَبِيبَتَانِ إِلَى الرَّحْمَنِ

জান্নাতীগণ (তাদের উপরস্থ) খাসকামরার লোকগণকে এমনভাবে দেখবে, যেভাবে তোমরা আকাশের তারকা দেখে থাক।