قائمة الأحاديث

‌أَلَا ‌أُنَبِّئُكُمْ بِأَكْبَرِ الْكَبَائِرِ؟

“যখন কোন ব্যক্তি তার কোন ভাইকে ভালোবাসে, তখন সে যেন তাকে জানিয়ে দেয় যে, সে তাকে ভালোবাসে।”

إِذَا أَحَبَّ الرَّجُلُ أَخَاهُ فَلْيُخْبِرْهُ أَنَّهُ يُحِبُّهُ

“কবীরা গুনাহ হলো: আল্লাহর সঙ্গে শরীক করা, পিতা-মাতার নাফরমানী করা, কাউকে হত্যা করা এবং মিথ্যা কসম করা।”

الْكَبَائِرُ: الْإِشْرَاكُ بِاللهِ، وَعُقُوقُ الْوَالِدَيْنِ، وَقَتْلُ النَّفْسِ، وَالْيَمِينُ الْغَمُوسُ

“তোমরা নিজেদের ঘরগুলোকে কবরে পরিণত করো না, আর আমার কবরকে ঈদ বা মেলায় পরিণত করো না এবং তোমরা আমার ওপর দুরূদ পড়। কারণ, তোমরা যেখানেই থাকো না কেন তোমাদের দুরূদ আমার কাছে পৌঁছে যায়।”

السَّاعِي عَلَى الأَرْمَلَةِ وَالمِسْكِينِ، كَالْمُجَاهِدِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ، أَوِ القَائِمِ اللَّيْلَ الصَّائِمِ النَّهَارَ

“যে ব্যক্তি তার দু’চোয়ালের মাঝের বস্তু (জিহ্বা) এবং দু’রানের মাঝখানের বস্তু (লজ্জাস্থান) এর জামানত আমাকে দিবে, আমি তার জন্য জান্নাতের জিম্মাদার হবো।”

اجْتَنِبُوا السَّبْعَ الْمُوبِقَاتِ

“সর্বোত্তম যিকির হলো লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ (لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ) আর সর্বোত্তম দু‘আ হলো আলহামদু লিল্লাহ (الْحَمْدُ لِلهِ)।”

أَنَا أَغْنَى الشُّرَكَاءِ عَنِ الشِّرْكِ، مَنْ عَمِلَ عَمَلًا أَشْرَكَ فِيهِ مَعِي غَيْرِي تَرَكْتُهُ وَشِرْكَهُ

“জান্নাত তোমাদের জুতার ফিতার চেয়েও বেশি নিকটে আর জাহান্নামও অনুরুপ।”

لَا تَجْعَلُوا بُيُوتَكُمْ قُبُورًا، وَلَا تَجْعَلُوا قَبْرِي عِيدًا، وَصَلُّوا عَلَيَّ؛ فَإِنَّ صَلَاتَكُمْ تَبْلُغُنِي حَيْثُ كُنْتُمْ

“মুসলিম ব্যক্তির ওপর যে সকল কষ্ট, রোগ-ব্যাধি, উদ্বেগ-উৎকন্ঠা, দুশ্চিন্তা, অনিষ্ট ও পেরেশানী আপতিত হয়, এমনকি যে কাঁটা তার দেহে বিদ্ধ হয়, এ সবের দ্বারা আল্লাহ তার গুনাহসমূহ থেকে ক্ষমা করেন।

أَدْخَلَهُ اللهُ الْجَنَّةَ عَلَى مَا كَانَ مِنَ الْعَمَلِ

“আল্লাহ এমন ব্যক্তির প্রতি রহমত বর্ষণ করেন যে নম্রতার সাথে ক্রয়-বিক্রয় করে ও পাওনা ফেরত চায়।”

مَنْ لَقِيَ اللهَ لَا يُشْرِكُ بِهِ شَيْئًا دَخَلَ الْجَنَّةَ، وَمَنْ لَقِيَهُ يُشْرِكُ بِهِ دَخَلَ النَّارَ

পূর্বযুগে কোন এক লোক ছিল, যে মানুষকে ঋণ প্রদান করত। সে তার কর্মচারীকে বলে দিত, তুমি যখন কোন অভাবগ্রস্তের কাছে (পাওনা আদায়ের জন্য) যাবে তখন তাকে ছাড় দিবে। হয়ত আল্লাহ তা‘আলা এ কারণে আমাকে ক্ষমা করে দিবেন।

مَنْ يَضْمَنْ لِي مَا بَيْنَ لَحْيَيْهِ وَمَا بَيْنَ رِجْلَيْهِ أَضْمَنْ لَهُ الْجَنَّةَ

“নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের চেহারা ও ধন-সম্পদের প্রতি দৃষ্টিপাত করেন না; বরং তিনি দৃষ্টি দিয়ে থাকেন তোমাদের অন্তর ও আমলের প্রতি।”

أَفْضَلُ الذِّكْرِ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ، وَأَفْضَلُ الدُّعَاءِ: الْحَمْدُ لِلهِ

প্রত্যেক কাজ নিয়তের উপর নির্ভরশীল। আর নিশ্চয় প্রতিটি মানুষ তার নিয়ত অনুযায়ী ফল পাবে

الْجَنَّةُ أَقْرَبُ إِلَى أَحَدِكُمْ مِنْ شِرَاكِ نَعْلِهِ، وَالنَّارُ مِثْلُ ذَلِكَ

“যদি তোমরা আল্লাহর প্রতি যথাযোগ্য তাওয়াক্কুল (ভরসা) রাখতে, তবে তিনি তোমাদেরকে রিজিক দান করতেন, যেমন পাখিকে তিনি রিযিক দান করে থাকেন। তারা সকালে ক্ষুধার্ত হয়ে (বাসা থেকে) বের হয় এবং সন্ধ্যায় উদর পূর্ণ করে (বাসায়) ফিরে।”

الصَّلَوَاتُ الْخَمْسُ، وَالْجُمُعَةُ إِلَى الْجُمُعَةِ، وَرَمَضَانُ إِلَى رَمَضَانَ، مُكَفِّرَاتٌ مَا بَيْنَهُنَّ إِذَا اجْتَنَبَ الْكَبَائِرَ

“তোমরা কি জান, গীবত কী?” তাঁরা বললেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই ভাল জানেন। তিনি বললেন:“ (গীবত হল) তোমার ভাইয়ের সম্পর্কে এমন কিছু আলোচনা করা, যা সে অপছন্দ করে

مَا يُصِيبُ الْمُسْلِمَ مِنْ نَصَبٍ وَلَا وَصَبٍ وَلَا هَمٍّ وَلَا حُزْنٍ وَلَا أَذًى وَلَا غَمٍّ حَتَّى الشَّوْكَةِ يُشَاكُهَا إِلَّا كَفَّرَ اللهُ بِهَا مِنْ خَطَايَاهُ

“তোমরা(ভিত্তিহীন) ধারণা করা থেকে বিরত থাকো। কারণ ধারণা করা সবোর্চ্চ মিথ্যা কথা।

حُجِبَتِ النَّارُ بِالشَّهَوَاتِ، وَحُجِبَتِ الْجَنَّةُ بِالْمَكَارِهِ

প্রত্যেক আদম সন্তানই গুনাহগার। আর গুনাহগারদের মধ্যে তাওবাকারীগণ উত্তম।

حَقُّ الْمُسْلِمِ عَلَى الْمُسْلِمِ خَمْسٌ: رَدُّ السَّلَامِ، وَعِيَادَةُ الْمَرِيضِ، وَاتِّبَاعُ الْجَنَائِزِ، وَإِجَابَةُ الدَّعْوَةِ، وَتَشْمِيتُ الْعَاطِسِ

“প্রত্যেক সৎ কাজই সাদাকা।”

رَحِمَ اللهُ رَجُلًا سَمْحًا إِذَا بَاعَ، وَإِذَا اشْتَرَى، وَإِذَا اقْتَضَى

যে ব্যক্তি কোন উত্তম বিষয়ে পথ প্রদর্শন করে, তার জন্য আমলকারীর সমান সাওয়াব রয়েছে

كان رجلٌ يُدَايِنُ الناسَ، فكان يقول لفتاه: إذا أتيتَ مُعسِرًا فتجاوز عنه، لعل اللهَ يَتجاوزُ عنا

“বান্দা সিজদা অবস্থায় স্বীয় রবের সর্বাধিক নিকটবর্তী হয়। সুতরাং (সিজদায়) তোমরা অধিক দু‘আ করো।”

من خَرج في طلب العلم فهو في سَبِيلِ الله حتى يرجع

“যে ব্যক্তি আল্লাহ ও শেষ দিনের উপর ঈমান রাখে সে যেন উত্তম কথা বলে, অথবা সে যেন চুপ থাকে।

إِذَا الْتَقَى الْمُسْلِمَانِ بِسَيْفَيْهِمَا فَالْقَاتِلُ وَالْمَقْتُولُ فِي النَّارِ

“যে ব্যক্তি মানুষের প্রতি দয়া করে না, মহান আল্লাহও তার প্রতি দয়া করেন না।”

إِنَّ الْحَلَالَ بَيِّنٌ وَإِنَّ الْحَرَامَ بَيِّنٌ

“আল্লাহর কাছে অধিকতর প্রিয় বাক্য চারটি: سُبْحَانَ اللَّهِ (আল্লাহ নিঙ্কলুষ পবিত্র), وَالْحَمْدُ لِلَّهِ (যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর) وَلاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ (এক আল্লাহ ব্যতীত কোন সত্য মাবূদ নেই) এবং اللَّهُ أَكْبَرُ (আল্লাহ সর্বমহান)। এগুলোর যে কোনটি দিয়ে তুমি শুরু কর, তাতে তোমার কোন ক্ষতি নেই।”

إِنَّ اللهَ كَتَبَ الْإِحْسَانَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল কোন আমল দ্বারা মানুষ বেশি জান্নাতে প্রবেশ করবে? তিনি বললেন: “আল্লাহর তাকওয়া ও উত্তম চরিত্রের কারণে

إِنَّ اللهَ لَا يَنْظُرُ إِلَى صُوَرِكُمْ وَأَمْوَالِكُمْ، وَلَكِنْ يَنْظُرُ إِلَى قُلُوبِكُمْ وَأَعْمَالِكُمْ

“দুটি কালেমা জিহ্বার উপর (উচ্চারণে) খুবই হালকা, মীযানের পাল্লায় অত্যন্ত ভারী, রাহমান (পরম দয়ালু আল্লাহ) এর কাছে খুবই প্রিয়

إِنَّمَا الْأَعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ، وَإِنَّمَا لِكُلِّ امْرِئٍ مَا نَوَى

“আল্লাহ তা‘আলার নিকট দু‘আর চেয়ে অধিক সম্মানিত কোনো বস্তু নেই।”

لَا تَغْضَبْ

“যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের সম্মানের উপর আঘাতকে প্রতিহত করে আল্লাহ তা‘আলা কিয়ামত দিবসে তার চেহারা থেকে জাহান্নামের আগুন কে প্রতিহত করবেন।”

لَو أَنَّكُمْ تَتَوَكَّلُونَ عَلَى اللهِ حَقَّ تَوَكُّلِهِ، لَرَزَقَكُمْ كَمَا يَرْزُقُ الطَّيْرَ، تَغْدُو خِمَاصًا وَتَرُوحُ بِطَانًا

“যে ব্যক্তি প্রতিদিন একশত বার (سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِهِ) ‘সুবাহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি’ বলবে তার গুনাহরাশি মাফ করে দেওয়া হবে; যদিও তা সমুদ্রের ফেনা পরিমাণ হয়।”

أَذْنَبَ عَبْدٌ ذَنْبًا، فَقَالَ: اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي ذَنْبِي

“আল্লাহ তা‘আলা যার দ্বারা কল্যাণ চান, তাকে দীনের জ্ঞান দান করেন।

إِنَّ الْمُقْسِطِينَ عِنْدَ اللهِ عَلَى مَنَابِرَ مِنْ نُورٍ، عَنْ يَمِينِ الرَّحْمَنِ عَزَّ وَجَلَّ، وَكِلْتَا يَدَيْهِ يَمِينٌ

“নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা মুত্তাকী, আত্মনির্ভরশীল ও আত্মগোপনকারী (নিজের গুণ প্রকাশে অনিচ্ছুক) বান্দাকে ভালোবাসেন।”

مَنْ يُحْرَمِ الرِّفْقَ يُحْرَمِ الْخَيْرَ

“নম্রতা যে জিনিসেই থাকে, তাকে তা সুন্দর বানিয়ে দেয় এবং তা যে জিনিস থেকেই বের করে নেওয়া হয়, তাকে তা অসুন্দর বানিয়ে দেয়।’’

أَتَدْرُونَ مَا الْغِيبَةُ؟»، قَالُوا: اللهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ، قَالَ: «ذِكْرُكَ أَخَاكَ بِمَا يَكْرَهُ

“নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা ঐ বান্দাহর প্রতি সন্তুষ্ট হন, যে খাবার খায়, অতঃপর তার উপর আল্লাহর প্রশংসা করে অথবা পানি পান করে, অতঃপর তার উপর আল্লাহর প্রশংসা করে।”

إِنَّ رِجَالًا يَتَخَوَّضُونَ فِي مَالِ اللهِ بِغَيْرِ حَقٍّ، فَلَهُمُ النَّارُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ

“নিশ্চয়ই মুমিন ব্যক্তি তার উত্তম চরিত্রের মাধ্যমে (দিনের) সাওম পালনকারী ও (রাতের) তাহাজ্জুদ সালাত আদায়কারীর সমান মর্যাদা লাভ করতে পারে।”

إِيَّاكُمْ وَالظَّنَّ؛ فَإِنَّ الظَّنَّ أَكْذَبُ الْحَدِيثِ

“তোমরা সহজ করো, কঠিন করো না, লোকদেরকে সুসংবাদ দাও, দূরে ঠেলে দিও না।”

كل بني آدم خطاء، وخير الخطائين التوابون

“তোমাদের মধ্যে কেউ (পূর্ণ) মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত আমি তার কাছে তার পিতা, তার সন্তান-সন্ততি এবং অন্যান্য সকল মানুষ হতে প্রিয়তম হই।”

كُلُّ مَعْرُوفٍ صَدَقَةٌ

“যে ব্যক্তি কোন রাতে সূরাহ বাকারার শেষ দু’টি আয়াত পাঠ করে, সে দুটিই তার জন্য যথেষ্ট।”

لَا تَحْقِرَنَّ مِنَ الْمَعْرُوفِ شَيْئًا، وَلَوْ أَنْ تَلْقَى أَخَاكَ بِوَجْهٍ طَلْقٍ

“যে ব্যক্তি আল্লাহর কিতাবের একটি হরফ পাঠ করবে তার জন্য এর এর কারণে একটি সাওয়াব আছে। আর সাওয়াবটি তার দশ গুণ বৃদ্ধি পায়।

لَيْسَ الشَّدِيدُ بِالصُّرَعَةِ، إِنَّمَا الشَّدِيدُ الَّذِي يَمْلِكُ نَفْسَهُ عِنْدَ الْغَضَبِ

যে ব্যক্তি কোনো কিছু ঝুলালো তাকে তার দিকে সপর্দ করা হবে।

مَنْ دَلَّ عَلَى خَيْرٍ فَلَهُ مِثْلُ أَجْرِ فَاعِلِهِ

“রহমান-আল্লাহ দয়াশীলদের প্রতি দয়া করেন। তোমরা যমীনবাসীদের প্রতি দয়া কর, যিনি আসমানের উপরে তিনি(আল্লাহ) তোমাদের প্রতি দয়া করবেন।”

لَا تَسُبُّوا الْأَمْوَاتَ، فَإِنَّهُمْ قَدْ أَفْضَوْا إِلَى مَا قَدَّمُوا

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ’কাযা’ আংশিক চুল কর্তন করা থেকে নিষেধ করেছেন।(১)

لَا يَحِلُّ لِرَجُلٍ أَنْ يَهْجُرَ أَخَاهُ فَوْقَ ثَلَاثِ لَيَالٍ، يَلْتَقِيَانِ، فَيُعْرِضُ هَذَا وَيُعْرِضُ هَذَا، وَخَيْرُهُمَا الَّذِي يَبْدَأُ بِالسَّلَامِ

হে বৎস! বিসমিল্লাহ বলো এবং ডান হাতে আহার কর আর তোমার কাছে থেকে খাও

لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ قَاطِعُ رَحِمٍ

তোমরা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের পরিবারবর্গের মাধ্যমে তাঁর প্রতি সম্মান প্রদর্শন কর।

لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ قَتَّاتٌ

“দুনিয়া হচ্ছে সুমিষ্ট ও সবুজ-শ্যামল এবং আল্লাহ তা‘আলা তোমাদেরকে তাতে প্রতিনিধি করেছেন। অত:পর তিনি দেখবেন তোমরা কিভাবে আমল করো? সুতরাং তোমরা দুনিয়ার ব্যাপারে সাবধান হও এবং সাবধান হও নারীজাতির ব্যাপারে।

مَنْ أَحَبَّ أَنْ يُبْسَطَ لَهُ فِي رِزْقِهِ، وَيُنْسَأَ لَهُ فِي أَثَرِهِ، فَلْيَصِلْ رَحِمَهُ

হে অন্তরের পরিবর্তনকারী, আমার অন্তরকে আপনার দীনের ওপর স্থির রাখুন।

أَقْرَبُ مَا يَكُونُ الْعَبْدُ مِنْ رَبِّهِ وَهُوَ سَاجِدٌ، فَأَكْثِرُوا الدُّعَاءَ

আল্লাহ তাআলা বলেন: যখন আমি আমার বান্দার পছন্দনীয় পার্থিব জিনিসকে কেড়ে নিই, অতঃপর সে (তাতে) সাওয়াবের আশা রাখে, তখন তার জন্য আমার নিকট জান্নাত ছাড়া অন্য কোন বিনিময় নেই।

مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ فَلْيَقُلْ خَيْرًا أَوْ لِيَصْمُتْ

তোমরা নিজেদের ওপর, নিজেদের সন্তান-সন্ততির ওপর, নিজেদের ধন-সম্পদের ওপর বদ-দো‘আ করো না। কেননা হতে পারে তোমরা আল্লাহর এমন একটি সময় তা চাইলে যখন কিছু প্রার্থনা করা হলে তিনি তোমাদের দো‘আ কবুল করেন।

مَنْ لَا يَرْحَمِ النَّاسَ لَا يَرْحَمْهُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ

তোমাদের প্রত্যেকের দো‘আ গৃহীত হয়; যাবৎ না সে তাড়াহুড়ো করে; যেমন সে বলে, আমি আমার রবের নিকট দো‘আ করেছি, কিন্তু তিনি আমার দো‘আ কবুল করেন নি।

إِنَّ أَبْغَضَ الرِّجَالِ إِلَى اللهِ الْأَلَدُّ الْخَصِمُ

কোন দো‘আ সর্বাধিক শোনা (কবুল করা) হয়?’ তিনি বললেন, “রাত্রির শেষভাগের মাঝে এবং ফরয সালাতসমূহের শেষাংশে।

أَحَبُّ الْكَلَامِ إِلَى اللهِ أَرْبَعٌ: سُبْحَانَ اللهِ، وَالْحَمْدُ لِلهِ، وَلَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ، وَاللهُ أَكْبَرُ، لَا يَضُرُّكَ بِأَيِّهِنَّ بَدَأْتَ

ব্যক্তি যেসব দিনার ব্যয় করে তন্মধ্যে সর্বোত্তম দিনার হলো সেসব দিনার যা সে নিজের পরিবারের জন্যে ব্যয় করে, আর সে দিনার যা সে আল্লাহর রাস্তায় নিজের বাহনের জন্যে ও আল্লাহর রাস্তায় তার সাথীদের জন্যে ব্যয় করে।

سُئِلَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ أَكْثَرِ مَا يُدْخِلُ النَّاسَ الْجَنَّةَ، فَقَالَ: «تَقْوَى اللهِ وَحُسْنُ الْخُلُقِ

মুমিনের ব্যাপারটাই আশ্চর্যজনক। তার প্রতিটি কাজই তার জন্য ভালো। এটা মু’মিন ব্যতীত অন্য কারো জন্য নয়। যদি তাকে কল্যাণ স্পর্শ করে সে আল্লাহর শোকর আদায় করে। ফলে এটা তার জন্য মঙ্গলময় হয়। আর যদি তাকে ক্ষতি স্পর্শ করে সে ধৈর্য ধারণ করে। ফলে এটাও তার জন্য মঙ্গলময় হয়।

الْحَيَاءُ مِنَ الْإِيمَانِ

তোমরা আমার কবরকে মেলায় পরিণত করো না আর তোমাদের ঘরগুলোকে কবরে পরিণত করো না। তোমরা যেখানেই থাকো না কেন তোমাদের সালাম আমার কাছে পৌঁছে যায়।

الدُّعَاءُ هُوَ الْعِبَادَةُ

যখন তোমরা কাপড় পরিধান করবে ও ওযূ করবে তখন তোমরা তোমাদের ডান দিক থেকে আর‎ম্ভ করবে।

عَلَيْكُمْ بِالصِّدْقِ، فَإِنَّ الصِّدْقَ يَهْدِي إِلَى الْبِرِّ، وَإِنَّ الْبِرَّ يَهْدِي إِلَى الْجَنَّةِ

যে ব্যক্তি দু’টি কন্যার লালন-পালন তাদের সাবালিকা হওয়া অবধি করবে, কিয়ামতের দিন আমি এবং সে এ দু’টি আঙ্গুলের মত পাশাপাশি আসব।

كَلِمَتَانِ خَفِيفَتَانِ عَلَى اللِّسَانِ، ثَقِيلَتَانِ فِي الْمِيزَانِ، حَبِيبَتَانِ إِلَى الرَّحْمَنِ

কে প্রশ্ন করলাম,আল্লাহর নিকট কোন আমলটি সর্বাধিক প্রিয়?’ তিনি বললেন, “যথা সময়ে সালাত আদায় করা।” আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম, ’তারপর কোনটি?’ তিনি বললেন, “পিতামাতার সাথে সদ্ব্যবহার করা।” আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম, ’তারপর কোনটি?’ তিনি বললেন, “আল্লাহর পথে জিহাদ করা।

لَيْسَ شَيْءٌ أَكْرَمَ عَلَى اللهِ تَعَالَى مِنَ الدُّعَاءِ

কে আমার ওপর বড়াই করে বলে, আমি অমুককে ক্ষমা করবো না? আমি তাকে ক্ষমা করে দিয়েছি এবং তোমার আমলকে নষ্ট করে দিয়েছি।

مَنْ رَدَّ عَنْ عِرْضِ أَخِيهِ رَدَّ اللهُ عَنْ وَجْهِهِ النَّارَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ

যে কোন প্রাণকে অন্যায়ভাবে হত্যা করা হবে, তার পাপের একটা অংশ আদমের প্রথম সন্তান (কাবীল) এর উপর বর্তাবে। কেননা, সে হত্যার রীতি সর্বপ্রথম চালু করেছে।

مَنْ قَالَ: سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِهِ، فِي يَوْمٍ مِائَةَ مَرَّةٍ، حُطَّتْ خَطَايَاهُ وَإِنْ كَانَتْ مِثْلَ زَبَدِ الْبَحْرِ

মানুষ বাচ-বিচার না করে এমন কথাবার্তা বলে ফেলে, যার ফলে সে জাহান্নামের ভেতর পূর্ব-পশ্চিমের মধ্যবর্তী দূরত্ব থেকেও বেশি দূরত্বে গিয়ে পতিত হয়।

مَنْ قَالَ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ، عَشْرَ مِرَارٍ

যে ব্যক্তি বলল -অর্থাৎ ঘর থেকে বের হওয়ার সময়: তাওয়াক্কালতু আলাল্লাহ, অলা হাওলা অলা কুউওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।’ (আমি আল্লাহর উপর ভরসা করলাম। আল্লাহর সাহায্য ছাড়া পাপ থেকে ফিরা ও পুণ্য করা সম্ভব নয়।) তাকে বলা হয়, ‘তোমাকে সঠিক পথ দেওয়া হল, তোমাকে যথেষ্টতা দান করা হল এবং তোমাকে বাঁচিয়ে নেওয়া হল।’ আর শয়তান তার নিকট থেকে দূরে সরে যায়।

مَنْ يُرِدِ اللهُ بِهِ خَيْرًا يُفَقِّهْهُ فِي الدِّينِ

তুমি তোমার যবানকে নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখ, তোমার ঘর যেন তোমার জন্যে যথেষ্ট হয় আর স্বীয় গুনাহের জন্য ক্রন্দন কর।

إِنَّ اللهَ يُحِبُّ الْعَبْدَ التَّقِيَّ الْغَنِيَّ الْخَفِيَّ

দুনিয়া যদি আল্লাহর নিকট মাছির ডানার সমান হতো, তাহলে তিনি কোনো কাফেরকে তার এক ঢোক পানিও পান করাতেন না।

أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ لَا يَرُدُّ الطِّيبَ

সে ব্যক্তির নাক ধূলায় মলিন হোক, আবার সে ব্যক্তির নাক ধূলায় মলিন হোক, সে ব্যক্তির নাক ধূলায় মলিন হোক, যে ব্যক্তি তার পিতামাতা উভয়কে কিংবা একজনকে বার্ধক্যাবস্থায় পেল; অথচ সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারল না।

أَكْمَلُ الْمُؤْمِنِينَ إِيمَانًا أَحْسَنُهُمْ خُلُقًا، وَخَيْرُكُمْ خَيْرُكُمْ لِنِسَائِهِمْ

আল্লাহর যিকিরকারীগণ অগ্রগামী হয়েছে।

إِنَّ الرِّفْقَ لَا يَكُونُ فِي شَيْءٍ إِلَّا زَانَهُ، وَلَا يُنْزَعُ مِنْ شَيْءٍ إِلَّا شَانَهُ

নিশ্চয় প্রত্যেক উম্মতের একটি ফিতনা রয়েছে। আমার উম্মতের ফিতনা হলো ধন-সম্পদ।

إِنَّ اللهَ لَيَرْضَى عَنِ الْعَبْدِ أَنْ يَأْكُلَ الْأَكْلَةَ فَيَحْمَدَهُ عَلَيْهَا، أَوْ يَشْرَبَ الشَّرْبَةَ فَيَحْمَدَهُ عَلَيْهَا

আমার সকল উম্মত ক্ষমা পাবে, তবে পাপ-প্রকাশকারী ব্যতীত

إنَّ المُؤْمِنَ ليُدرِكُ بِحُسْنِ خُلُقِهِ دَرَجَةَ الصَّائِمِ القَائِمِ

দুনিয়াতে কোনো বান্দা যদি অপর কোনো বান্দার দোষ-ত্রুটি গোপন করে তাহলে কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা‘আলা তার দোষ-ত্রুটি গোপন করবেন।

إِنَّ مِنْ خِيَارِكُمْ أَحْسَنَكُمْ أَخْلَاقًا

তোমাদের প্রত্যেকেই যেন আল্লাহর প্রতি সুধারণা পোষণ করা অবস্থায় মারা যায়।

إِنَّ اللهَ لَيُمْلِي لِلظَّالِمِ، حَتَّى إِذَا أَخَذَهُ لَمْ يُفْلِتْهُ

সুসংবাদ ছাড়া নবুওয়াতের কিছু বাকি নেই।

مَا تَرَكْتُ بَعْدِي فِتْنَةً أَضَرَّ عَلَى الرِّجَالِ مِنَ النِّسَاءِ

আখেরাতের মোকাবেলায় দুনিয়ার দৃষ্টান্ত ঐরূপ, যেমন তোমাদের কেউ সমুদ্রে আঙ্গুল ডুবায় অতঃপর দেখে তা কতটুকু পানি নিয়ে ফিরে।

يَسِّرُوا وَلَا تُعَسِّرُوا، وَبَشِّرُوا وَلَا تُنَفِّرُوا

যে ব্যক্তি তার রবের যিকির করে এবং যে তা করে না, তাদের উদাহরণ জীবিত ও মৃত ব্যক্তির মতো।

مَنْ نَزَلَ مَنْزِلًا ثُمَّ قَالَ: أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ، لَمْ يَضُرَّهُ شَيْءٌ حَتَّى يَرْتَحِلَ مِنْ مَنْزِلِهِ ذَلِكَ

‘‘আমি তোমাদের উপর যার আশঙ্কা করছি তা হল এই যে, তোমাদের উপর দুনিয়ার শোভা ও সৌন্দর্য (এর দরজা) খুলে দেওয়া হবে।’’

لَا يُؤْمِنُ أَحَدُكُمْ حَتَّى أَكُونَ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِنْ وَالِدِهِ وَوَلَدِهِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ

এক লোক বলল, হে আল্লাহর রাসূল! মানুষের মধ্যে আমার সদ্ব্যবহার পাওয়ার সর্বাপেক্ষা হকদার কে? তিনি বললেন, “তোমার মা। এরপরও তোমার মা। এরপরও তোমার মা। এরপর তোমার বাবা। এরপর তোমার নিকট আত্মীয়-স্বজন। এরপর তোমার নিকটবর্তীগণ।”

لَأَنْ أَقُولَ: سُبْحَانَ اللهِ، وَالْحَمْدُ لِلهِ، وَلَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ، وَاللهُ أَكْبَرُ، أَحَبُّ إِلَيَّ مِمَّا طَلَعَتْ عَلَيْهِ الشَّمْسُ

যে ব্যক্তি আমাকে স্বপ্নে দেখল, সে আমাকে জাগ্রত অবস্থায় দেখবে অথবা সে যেন আমাকে জাগ্রত অবস্থায় দেখল। কেননা, শয়তান আমার রূপ ধারণ করতে পারে না।

مَنْ قَرَأَ بِالْآيَتَيْنِ مِنْ آخِرِ سُورَةِ الْبَقَرَةِ فِي لَيْلَةٍ كَفَتَاهُ

তিনটি জিনিস মৃত ব্যক্তিকে অনুসরণ করে: তার আত্মীয়-স্বজন, তার সম্পদ ও তার আমল। অতঃপর দু’টি জিনিস ফিরে আসে এবং একটি জিনিস রয়ে যায়। তার আত্মীয়-স্বজন ও তার ধন-সম্পদ ফিরে আসে, কিন্তু তার আমল (তার সঙ্গে) রয়ে যায়।

مَنْ قَرَأَ حَرْفًا مِنْ كِتَابِ اللهِ فَلَهُ بِهِ حَسَنَةٌ، وَالْحَسَنَةُ بِعَشْرِ أَمْثَالِهَا

আরোহী পায়ে হাঁটা ব্যক্তিকে, পায়ে হাঁটা ব্যক্তি বসে থাকা ব্যক্তিকে এবং অল্প সংখ্যক লোক অধিক সংখ্যক লোককে সালাম দিবে।

من تعلق شيئا وُكل إليه

তুমি যেখানেই থাক, আল্লাহকে ভয় কর এবং পাপের পরে পুণ্য কর, যা পাপকে মুছে ফেলবে। আর মানুষের সঙ্গে সদ্ব্যবহার কর।

الرَّاحِمُونَ يَرْحَمُهمُ الرَّحمنُ، ارحَمُوا أهلَ الأرضِ يَرْحْمْكُم مَن في السّماء

তুমি দুনিয়া বিমুখ হও আল্লাহ তোমাকে ভালোবাসবেন এবং মানুষের নিকট যা আছে তা থেকে বিমুখ হও। মানুষ তোমাকে ভালোবাসবে।

أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنِ الْقَزَعِ

“নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা বান্দার তওবাহ সে পর্যন্ত কবুল করবেন, যে পর্যন্ত তার প্রাণ কণ্ঠাগত না হয়।”

كُنَّا عِنْدَ عُمَرَ فَقَالَ: «نُهِينَا عَنِ التَّكَلُّفِ

নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা তার হাত রাতে প্রসারিত করেন যেন দিনের অপরাধীরা তাওবা করে এবং দিনে তার হাত প্রসারিত করেন যেন রাতের অপরাধীরা তাওবা করে, যে পর্যন্ত না পশ্চিম আকাশে সূর্য উঠবে।

مَا مِنْ أَحَدٍ يَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللهِ صِدْقًا مِنْ قَلْبِهِ إِلَّا حَرَّمَهُ اللهُ عَلَى النَّارِ

এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সফরে সাওম পালন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, “যদি তোমার ইচ্ছা হয় তবে সাওম রাখ, আর যদি তোমার ইচ্ছা হয় তবে সাওম ভঙ্গ কর।”

يَا غُلَامُ، سَمِّ اللهَ، وَكُلْ بِيَمِينِكَ، وَكُلْ مِمَّا يَلِيكَ

যে মহিলা আল্লাহ ও আখিরাত দিবসের প্রতি ঈমান রাখে, তার সাথে কোনো মাহরাম না থাকা অবস্থায় তার জন্য একদিন- এক রাত্রির পথ সফর করা বৈধ নয়।

إِذَا أَكَلَ أَحَدُكُمْ فَلْيَأْكُلْ بِيَمِينِهِ، وَإِذَا شَرِبَ فَلْيَشْرَبْ بِيَمِينِهِ، فَإِنَّ الشَّيْطَانَ يَأْكُلُ بِشِمَالِهِ، وَيَشْرَبُ بِشِمَالِهِ

পূর্বেকার নবুওয়াতের বাণীসমূহ থেকে লোকেরা যা লাভ করেছে তন্মধ্যে একটি হচ্ছে: যখন তুমি লজ্জা করবে না তখন যা ইচ্ছা তাই কর।

الطُّهُورُ شَطْرُ الْإِيمَانِ، وَالْحَمْدُ لِلهِ تَمْلَأُ الْمِيزَانَ، وَسُبْحَانَ اللهِ وَالْحَمْدُ لِلهِ تَمْلَآنِ -أَوْ تَمْلَأُ- مَا بَيْنَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ

তুমি এ দুনিয়াতে একজন মুসাফির অথবা পথচারীর মতো থাক।

ينزل ربنا تبارك وتعالى كل ليلة إلى السماء الدنيا حين يبقى ثلث الليل الآخر

হে আল্লাহর রাসুল! আমাদের ওপর ইসলামের শারী‘আতের বিষয় অনেক হয়ে গেছে। সুতরাং আমাদেরকে একটি বিষয় জানান, যা আমরা শক্তভাবে আঁকড়ে ধরব। তিনি বললেন: “সর্বদা তোমার জিহ্বা যেন আল্লাহ তা‘আলার যিকির দ্বারা সিক্ত থাকে।”

يُوشِكُ الأممُ أن تَدَاعى عليكم كما تداعى الأَكَلةُ إلى قصعتها

তোমাদের কেউ প্রকৃত মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না সে তার ভাইয়ের জন্য সেটাই পছন্দ করবে, যা তার নিজের জন্য পছন্দ করে।

فَإِنَّ حَقَّ اللَّهِ عَلَى العِبَادِ أَنْ يَعْبُدُوهُ وَلا يُشْرِكُوا بِهِ شَيْئًا، وَحَقَّ العِبَادِ عَلَى اللَّهِ أَنْ لا يُعَذِّبَ مَنْ لا يُشْرِكُ بِهِ شَيْئًا

যে ব্যক্তি পশ্চিম দিক থেকে সূর্যোদয় হওয়ার পূর্বে তাওবা করবে, আল্লাহ তার তাওবা গ্রহণ করবেন।

مَنْ مَاتَ لَا يُشْرِكُ بِاللهِ شَيْئًا دَخَلَ الْجَنَّةَ، وَمَنْ مَاتَ يُشْرِكُ بِاللهِ شَيْئًا دَخَلَ النَّارَ

“যাকে কোমলতা থেকে বঞ্চিত করা হলো, তাকে সব ধরনের মঙ্গল থেকে বঞ্চিত করা হলো।”

قُلْ لِي فِي الْإِسْلَامِ قَوْلًا لَا أَسْأَلُ عَنْهُ أَحَدًا غَيْرَكَ، قَالَ: «قُلْ: آمَنْتُ بِاللهِ، ثُمَّ اسْتَقِمْ

আমি কি তোমাদেরকে বলে দিব, কে জাহান্নামের জন্য হারাম অথবা কার জন্য জাহান্নাম হারাম? জাহান্নাম হারাম হলো প্রত্যেক নিকটবর্তী, সহজ-সরল ও কোমল ব্যক্তির জন্য।

إِنَّ اللهَ سَيُخَلِّصُ رَجُلًا مِنْ أُمَّتِي عَلَى رُءُوسِ الْخَلَائِقِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ

যমীনের বুকে কোনো মুসলিম আল্লাহর কাছে কোনো কিছুর জন্য দো‘আ করলে অবশ্যই আল্লাহ তাকে তা দান করেন কিংবা তার থেকে সমপরিমাণ ক্ষতি সরিয়ে দেন, যতক্ষণ না সে পাপের অথবা আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার দো‘আ করে।

لَمَّا خَلَقَ اللَّهُ الْجَنَّةَ وَالنَّارَ أَرْسَلَ جِبْرِيلَ عَلَيْهِ السَّلَامُ

মুসীবতের দো‘আ: আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্য ইলাহ নেই, যিনি মহান ও সহিষ্ণু। আল্লাহ ব্যতীত কোনো সত্য ইলাহ নেই, তিনি মহা ‘আরশের রব। আল্লাহ ব্যতীত কোনো সত্য ইলাহ নেই, তিনি আসমানের রব, জমিনের রব এবং মর্যাদাবান ‘আরশের রব।

عليكم بتقوى الله، والسمع والطاعة، وإن عبدًا حبشيًّا، وسترون من بعدي اختلافًا شديدًا، فعليكم بسنتي وسنة الخلفاء الراشدين المهديين

যুলুম কিয়ামতের দিন অন্ধকারস্বরূপ

إِذَا قَالَ الْمُؤَذِّنُ: اللهُ أَكْبَرُ اللهُ أَكْبَرُ، فَقَالَ أَحَدُكُمُ: اللهُ أَكْبَرُ اللهُ أَكْبَرُ

আল্লাহর নিকট সর্বাধিক প্রিয় কালাম সম্পর্কে তোমাকে জানাব না কি? আল্লাহর কাছে সর্বাধিক প্রিয় কথা হল

قَالَ اللهُ تَعَالَى: قَسَمْتُ الصَّلَاةَ بَيْنِي وَبَيْنَ عَبْدِي نِصْفَيْنِ، وَلِعَبْدِي مَا سَأَلَ

প্রকৃত কৃপণ সেই ব্যক্তি, যার কাছে আমি উল্লিখিত হলাম [আমার নাম উচ্চারিত হল], অথচ সে আমার প্রতি দরূদ পাঠ করল না।

يَا عَبَّاسُ، يَا عَمَّ رَسُولِ اللهِ، سَلِ اللَّهَ العَافِيَةَ فِي الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ

যে ব্যক্তি গভীর রাত্রিকে ভয় করে সে যেন সন্ধ্যা রাত্রেই সফর শুরু করে। আর যে ব্যক্তি সন্ধ্যারাত্রে চলতে শুরু করে সে গন্তব্যস্থলে পৌঁছে যায়। সাবধান! আল্লাহর পণ্য বড় দামী। শোনো! আল্লাহর পণ্য হলো জান্নাত।

لاَ تَلْبَسُوا الحَرِيرَ وَلاَ الدِّيبَاجَ، وَلاَ تَشْرَبُوا فِي آنِيَةِ الذَّهَبِ وَالفِضَّةِ، وَلاَ تَأْكُلُوا فِي صِحَافِهَا، فَإِنَّهَا لَهُمْ فِي الدُّنْيَا وَلَنَا فِي الآخِرَةِ

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “এমন দুটি নিয়ামত আছে, বহু মানুষ সে দু’টির ব্যাপারে ধোঁকায় আছে। (তা হল) সুস্থতা ও অবসর।”

مَنْ لَبِسَ الحَرِيرَ فِي الدُّنْيَا لَمْ يَلْبَسْهُ فِي الآخِرَةِ

সেই মহান সত্ত্বার কসম, যার হাতে আমার জীবন! যদি তোমরা পাপ না কর, তাহলে আল্লাহ তা‘আলা তোমাদেরকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে (তোমাদের পরিবর্তে) এমন এক জাতি আনয়ন করবেন, যারা পাপ করবে এবং আল্লাহ তা‘আলার কাছে ক্ষমা প্রার্থনাও করবে। আর আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা করে দিবেন।

أَمَا إِنِّي لَمْ أَسْتَحْلِفْكُمْ تُهْمَةً لَكُمْ، وَلَكِنَّهُ أَتَانِي جِبْرِيلُ فَأَخْبَرَنِي أَنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ يُبَاهِي بِكُمُ الْمَلَائِكَةَ

হে আদম সন্তান! যখন তুমি আমাকে ডাকবে ও আমার ক্ষমার আশা রাখবে, আমি তোমাকে ক্ষমা করব, তোমার অবস্থা যাই হোক না কেন; আমি কোনো পরোয়া করি না। হে আদম সন্তান! তোমার গোনাহ যদি আকাশ পর্যন্ত পৌঁছে যায়, অতঃপর তুমি আমার নিকট ক্ষমা চাও, তবুও আমি তোমাকে ক্ষমা করব; আমি কোনো পরোয়া করি না।

إِنَّهُمَا لَيُعَذَّبَانِ، وَمَا يُعَذَّبَانِ فِي كَبِيرٍ، أَمَّا أَحَدُهُمَا فَكَانَ لاَ يَسْتَتِرُ مِنَ البَوْلِ، وَأَمَّا الآخَرُ فَكَانَ يَمْشِي بِالنَّمِيمَةِ

হে আল্লাহ! তুমি আমার ছোট ও বড়, পূর্বের ও পরের সকল প্রকার পাপকে মাফ করে দাও।

دَعْهُمَا، فَإِنِّي أَدْخَلْتُهُمَا طَاهِرَتَيْنِ

আযান ও ইকামাতের মাঝে দো‘আ প্রত্যাখ্যান করা হয় না।

يا رسول الله، أيرقد أحدنا وهو جنب؟ قال: نعم، إذا توضأ أحدكم فليرقد

হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি আপনার নিকট আপনার অনুগ্রহের অপসরণ, নিরাপত্তার পরিবর্তন, আকস্মিক পাকড়াও এবং যাবতীয় অসন্তোষ থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।

إِذَا تَوَضَّأَ أَحَدُكُمْ فَلْيَجْعَلْ فِي أَنْفِهِ ثُمَّ لِيَنْثُرْ، وَمَنِ اسْتَجْمَرَ فَلْيُوتِرْ

হে আল্লাহ আমি ঋণের বোঝা, দুশমণের প্রাধান্য এবং দুশমনের হাসি থেকে রক্ষা কামনা করছি।

إِذَا دَخَلَ الرَّجُلُ بَيْتَهُ، فَذَكَرَ اللهَ عِنْدَ دُخُولِهِ وَعِنْدَ طَعَامِهِ، قَالَ الشَّيْطَانُ: لَا مَبِيتَ لَكُمْ، وَلَا عَشَاءَ

আল্লাহর নিকট শক্তিশালী মু’মিন দুর্বল মু’মিন অপেক্ষা অধিক উত্তম ও প্রিয়। তাদের সবার মধ্যে রয়েছে কল্যাণ। যা তোমার উপকারে আসে তার প্রতি লোভ কর এবং আল্লাহর সাহায্য কামনা কর। তবে তুমি অক্ষম হবে না।

ارقبوا محمدًا صلى الله عليه وسلم في أهل بيته

“নিশ্চয় তোমাদের রব চিরঞ্জীব, অতি দানশীল। তাঁর কোনো বান্দা নিজের দু’হাত তুলে তাঁর নিকট দো‘আ করলে তিনি তাকে শূন্যহাতে বা তাকে নিরাশ করে ফিরিয়ে দিতে লজ্জাবোধ করেন।”