قائمة الأحاديث

من حج لله فلم يرفث ولم يفسق رجع كيوم ولدته أمه

“খাবারের উপস্থিতিতে ও দু’টি খারাপ বস্তু আটকে রেখে কোনো সালাত নেই।”

لا صلاة بحضرة الطعام، ولا هو يدافعه الأخبثان

“প্রতিদানকারী আত্মীয়তার হক সংরক্ষণকারী নয়; বরং আত্মীয়তার হক সংরক্ষণকারী সে ব্যক্তি, যে আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন হবার পরও তা বজায় রাখে।”

إذا قلت لصاحبك: أنصت، يوم الجمعة، والإمام يخطب، فقد لغوت

“যে ব্যক্তি রমযানে ঈমানের সাথে ও সাওয়াব লাভের আশায় সাওম পালন করে, তার পূর্ববর্তী গুনাহসমূহ মাফ করে দেয়া হয়।”

الفطرة خمس: الختان والاستحداد وقص الشارب وتقليم الأظفار ونتف الآباط

“যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে সাওয়াব লাভের আশায় লাইলাতুল ক্বদরে রাত জেগে দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করে, তার পূর্ববর্তী গুনাহসমূহ মাফ করে দেয়া হয়।”

أحفوا الشوارب وأعفوا اللحى

“দুনিয়া ভোগ্যপণ্য এবং দুনিয়ার উত্তম উপভোগ্য উপকরণ হল পুণ্যবতী নারী।”

من توضأ نحو وضوئي هذا ثم صلى ركعتين لا يحدث فيهما نفسه غفر الله له ما تقدم من ذنبه

“মহান আল্লাহ বলেন, খরচ কর, হে, আদম সন্তান ! আমিও খরচ করবো তোমার প্রতি।”

اللهم لا تجعل قبري وثنا

“যখন ব্যক্তি তার পরিবারের জন্য সাওয়াবের উদ্দেশ্যে খরচ করে, তবে তা তার জন্যে সদাকা।”

إن أثقل صلاة على المنافقين صلاة العشاء وصلاة الفجر، ولو يعلمون ما فيهما لأتوهما ولو حبوا

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ’কাযা’ আংশিক চুল কর্তন করা থেকে নিষেধ করেছেন।(১)

لا يقبل الله صلاة أحدكم إذا أحدث حتى يتوضأ

নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুই সিজদার মাঝখানে বলতেন: (اللَّهمَّ اغْفِرْ لي، وارْحَمْنِي، وعافِني، واهْدِني، وارزقْنِي) অর্থ: হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করুন, আমার প্রতি দয়া করুন, আমাকে সুস্থতা দান করুন,আমাকে সঠিক পথপ্রদর্শন করুন এবং রিজিক দান করুন।

السواك مطهرة للفم، مرضاة للرب

অভিভাবক ছাড়া কোনো বিয়ে নেই।

الصلوات الخمس، والجمعة إلى الجمعة، ورمضان إلى رمضان، مكفرات ما بينهن إذا اجتنب الكبائر

“যখন তোমরা আযান শুনতে পাও তখন মুয়ায্‌যিন যা বলে তোমরাও অনুরূপ বল।”

ليس الواصل بالمكافئ، ولكن الواصل الذي إذا قطعت رحمه وصلها

“দুনিয়া হচ্ছে সুমিষ্ট ও সবুজ-শ্যামল এবং আল্লাহ তা‘আলা তোমাদেরকে তাতে প্রতিনিধি করেছেন। অত:পর তিনি দেখবেন তোমরা কিভাবে আমল করো? সুতরাং তোমরা দুনিয়ার ব্যাপারে সাবধান হও এবং সাবধান হও নারীজাতির ব্যাপারে।

من صام رمضان إيمانا واحتسابا غفر له ما تقدم من ذنبه

لَا يَفْرَكْ مُؤْمِنٌ مُؤْمِنَةً، إِنْ كَرِهَ مِنْهَا خُلُقًا رَضِيَ مِنْهَا آخَرَ

من يقم ليلة القدر إيمانا واحتسابا غفر له ما تقدم من ذنبه

তোমরা আমার কবরকে মেলায় পরিণত করো না আর তোমাদের ঘরগুলোকে কবরে পরিণত করো না। তোমরা যেখানেই থাকো না কেন তোমাদের সালাম আমার কাছে পৌঁছে যায়।

دعوني ما تركتكم، إنما هلك من كان قبلكم بسؤالهم واختلافهم على أنبيائهم

যখন তোমরা কাপড় পরিধান করবে ও ওযূ করবে তখন তোমরা তোমাদের ডান দিক থেকে আর‎ম্ভ করবে।

إن الحلال بين وإن الحرام بين

কে প্রশ্ন করলাম,আল্লাহর নিকট কোন আমলটি সর্বাধিক প্রিয়?’ তিনি বললেন, “যথা সময়ে সালাত আদায় করা।” আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম, ’তারপর কোনটি?’ তিনি বললেন, “পিতামাতার সাথে সদ্ব্যবহার করা।” আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম, ’তারপর কোনটি?’ তিনি বললেন, “আল্লাহর পথে জিহাদ করা।

إن الله كتب الإحسان على كل شيء

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাতে এ কথার সাক্ষ্য দেওয়া যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্য মাবূদ নেই এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসূল, সালাত কায়েম, যাকাত আদায়, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করা ও তাদের আদেশ মান্য করা ও প্রতিটি মুসলিমের কল্যাণ কামনা করার শর্তে আমি বাই‘আত গ্রহণ করেছি।

لا ضرر ولا ضرار، من ضار ضره الله، ومن شاق شق الله عليه

আমি তোমাকে ওয়াসিয়াত করছি, তুমি প্রত্যেক সালাতের পর এ দু’আটি কখনো পরিহার করবে নাঃ اللَّهُمَّ أَعِنِّي عَلَى ذِكْرِكَ وَشُكْرِكَ وَحُسْنِ عِبَادَتِكَ “আল্লাহুম্মা আঈন্নী ’আলা যিকরিকা ওয়া শুকরিকা ওয়া হুসনি ’ইবাদাতিকা” (অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনার স্মরণে, আপনার কৃতজ্ঞতা প্রকাশে এবং আপনার উত্তম ’ইবাদাতে আমাকে সাহায্য করুন)”।

مانهيتكم عنه فاجتنبوه، وما أمرتكم به فأْتُوا منه ما استطعتم، فإنما أَهلَكَ الذين من قبلكم كثرةُ مسائلهم واختلافهم على أنبيائهم

“আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, সওম ব্যতীত আদম সন্তানের প্রতিটি কাজই তার নিজের জন্য, কিন্তু সিয়াম আমার জন্য। তাই আমি এর প্রতিদান দেব

ما زال يوصيني جبريل بالجار، حتى ظننت أنه سيورثه

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সর্বোত্তম সালাত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলো, তিনি বললেন, “দীর্ঘ কিয়ামযুক্ত সালাত।”

إن الرقى والتمائم والتولة شرك

“তুমি আল্লাহর জন্য অবশ্যই বেশি বেশি সিজদা করবে; কেননা তুমি যখনই আল্লাহর জন্য একটি সিজদা করবে, আল্লাহ তা’আলা এর বিনিময়ে তোমার মর্যাদা একধাপ বৃদ্ধি করে দিবেন এবং তোমার একটি গুনাহও মাফ করে দিবেন।”

لا تسبوا الأموات، فإنهم قد أفضوا إلى ما قدموا

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম শেষ দশকে এতো পরিশ্রম করতেন যা তিনি অন্য সময় করতেন না।

من صلى صلاة الصبح فهو في ذمة الله

“যে ব্যক্তি দু’টি ঠাণ্ডায় সালাত পড়বে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।”

ما نقصت صدقة من مال، وما زاد الله عبدا بعفو إلا عزا، وما تواضع أحد لله إلا رفعه الله

এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সফরে সাওম পালন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, “যদি তোমার ইচ্ছা হয় তবে সাওম রাখ, আর যদি তোমার ইচ্ছা হয় তবে সাওম ভঙ্গ কর।”

أكمل المؤمنين إيمانا أحسنهم خلقا، وخيركم خيركم لنسائهم

নিজ স্ত্রীর সাথে মিলন জনিত কারণে নাপাক অবস্থায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ফজরের সময় হয়ে যেত। তখন তিনি গোসল করতেন এবং সাওম পালন করতেন।

الدنيا متاع، وخير متاع الدنيا المرأة الصالحة

রাতের সব অংশেই রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (অর্থাৎ বিভিন্ন সময়ে) সালাত বিতর আদায় করতেন। রাতের প্রথমাংশে, মধ্যভাগে ও শেষাংশের সালাতে বিতর আদায় করতেন। রাতের শেষভাগে সাহরির সময় তার বিতর শেষ হতো।

قال الله: أنفق يا ابن آدم أنفق عليك

“তোমার শরীরের যে অংশ ব্যথাযুক্ত হয়, তার উপরে তোমার হাত রেখে তিনবার ’বিসমিল্লা-হ’ বলবে এবং সাতবার বলবে-أَعُوذُ بِاللَّهِ وَقُدْرَتِهِ مِنْ شَرِّ مَا أَجِدُ وَأُحَاذِرُ "আল্লাহ এবং তার ক্ষমতার আশ্রয় প্রার্থনা করছি- যা আমি অনুভব করি এবং যা ধারণা করি তার অনিষ্ট হতে।

أحق الشروط أن توفوا به ما استحللتم به الفروج

“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম সমস্ত লোকের চেয়ে অধিক দানশীল ছিলেন। আর মাহে রমযানে যখন জিব্রাঈল তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন, তখন তিনি আরো বেশী বদান্য প্রদর্শন করতেন

كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يهلل بهن دبر كل صلاة

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শাবানের চাইতে বেশি সিয়াম কোনো মাসে রাখতেন না।

ما من أيام العمل الصالح فيها أحب إلى الله من هذه الأيام يعني أيام العشر

আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দেখেছি, তিনি তার মোজার উপরিভাগের ওপর মাসেহ করেন।

من ترك صلاة العصر فقد حبط عمله

যে ব্যক্তি জুমু‘আর দিন অযু করল সে যথেষ্ট করল ও ভালো করল, আর যে গোলস করল সে অধিক উত্তম।

من توضأ فأحسن الوضوء خرجت خطاياه من جسده حتى تخرج من تحت أظفاره

নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আশূরার দিন সাওম পালন করেছেন।

إذا أنفق الرجل على أهله يحتسبها فهو له صدقة

রমযান মাসের সিয়ামের পর সর্বোত্তম সিয়াম হচ্ছে আল্লাহর মাস মুহার্রামের সিয়াম। আর ফরয সালাতের পর সর্বোত্তম সালাত হচ্ছে রাতের (তাহাজ্জুুদের) সালাত।”

أن رسول الله صلى الله عليه وسلم نهى عن القزع

“পুরুষদের জন্য প্রথম লাইন উত্তম এবং শেষের লাইন মন্দ। মহিলাদের জন্য শেষের লাইন উত্তম এবং প্রথম লাইন মন্দ”।

استنزهوا من البول؛ فإن عامة عذاب القبر منه

“জানাযাকে দ্রুত নিয়ে যাও, কেননা যদি সে নেককার হয় তবে তোমরা তাকে তার কল্যাণের দিকে দ্রুত পৌঁছে দিবে। আর যদি সে ভিন্ন কিছু হয় তবে তোমরা একটা অকল্যাণ তোমাদের ঘাড় (দায়িত্বভার) থেকে দ্রুত নামিয়ে দিলে।”

لا تجلسوا على القبور، ولا تصلوا إليها

জানাযার পশ্চাদানুগমণ করতে আমাদের নিষেধ করা হয়েছে, তবে আমাদের উপর কড়াকড়ি আরোপ করা হয়নি।

أولئك قوم إذا مات فيهم العبد الصالح، أو الرجل الصالح، بنوا على قبره مسجدا

‘তোমাদেরকে মিসওয়াক করার জন্য খুব বেশি তাকীদ করেছি।’

أمرت أن أسجد على سبعة أعظم

“উপরের হাত নীচের হাত অপেক্ষা উত্তম

كان النبي صلى الله عليه وسلم يقول بين السجدتين: اللهم اغفر لي، وارحمني، وعافني، واهدني، وارزقني

নিশ্চয় মানুষের নিজের সম্পদ তা-ই, যা সে আগে পাঠিয়েছে, আর যা পিছনে ছেড়ে যাবে তা উত্তরাধিকারীর সম্পদ।

اللهم أنت السلام، ومنك السلام، تباركت ذا الجلال والإكرام

“জান্নাতের মধ্যে এমন একটি দরজা আছে, যার নাম হল ‘রাইয়ান’; যার মধ্য দিয়ে কেবলমাত্র সিয়াম পালনকারীগণই কিয়ামাতের দিনে প্রবেশ করবে। তারা ছাড়া আর কেউ সে দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না

صل قائما، فإن لم تستطع فقاعدا، فإن لم تستطع فعلى جنب

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার তাঁর (জাবেরের) নিকট থেকে একটি উট ক্রয় করলেন। সুতরাং তিনি তার মূল্য পরিশোধ করার সময় (স্বর্ণ-রৌপ্য প্রাপ্য অপেক্ষা) ওজনে বেশি দিলেন।

هل تسمع النداء بالصلاة؟ فقال: نعم، قال: فأجب

তোমরা পানাহার করো, দান-খয়রাত করো এবং পরিধান করো অপচয় ও অহংকার মুক্ত হয়ে।

إذا أتى أحدكم الصلاة والإمام على حال، فليصنع كما يصنع الإمام

আমি নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে সালাত আদায় করতাম। তাঁর সালাতও মধ্যম ধরনের হতো এবং তাঁর খুৎবাও মধ্যম ধরনের হতো।

علمنا رسول الله صلى الله عليه وسلم خطبة الحاجة

তোমাদের কারও জন্য উচিৎ হবে সে যেন কর্ম সচেতন থাকা কালে সালাত আদায় করে। অতঃপর সে যখন শ্রান্ত হয়ে পড়বে, তখন সে যেন শুয়ে যায়।

لا نكاح إلا بولي

কোনো প্রতিবেশী তার প্রতিবেশীকে তার দেয়ালে খুঁটি পুঁততে নিষেধ করবে না। তারপর আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, কী হলো, আমি তোমাদেরকে এ হাদীস থেকে উদাসীন দেখছি? আল্লাহর কসম, আমি সব সময় তোমাদেরকে এ হাদীস দ্বারা তোমাদের দুই কাঁধের মাঝে আঘাত করতে থাকব।

من قتل معاهدا لم يرح رائحة الجنة، وإن ريحها توجد من مسيرة أربعين عاما

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত পড়ার আগে কতিপয় টাটকা পাকা খেজুর দিয়ে ইফতার করতেন।

لعن رسول الله صلى الله عليه وسلم الراشي والمرتشي في الحكم

যে লোক মৃত ব্যক্তিকে গোসল দিবে অতঃপর তার কোনো দোষ-ত্রুটি দেখলে তা গোপন রাখবে, আল্লাহ তাকে চল্লিশ বার ক্ষমা করবেন।

بني الإسلام على خمس

আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সালাতে এদিক ওদিক তাকানো সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেন, এটা এক ধরনের ছিনতাই, যার মাধ্যমে শয়তান বান্দার সালাত হতে অংশ বিশেষ ছিনিয়ে নেয়।

أرأيت إذا صليت الصلوات المكتوبات، وصمت رمضان، وأحللت الحلال، وحرمت الحرام

যে ব্যক্তি ঘুমানোর কারণে বিতর সালাত আদায় করতে পারেনি অথবা তা আদায় করতে ভুলে যায়, পরে স্মরণ হওয়া মাত্রই যেন তা আদায় করে নেয়।

الطهور شطر الإيمان، والحمد لله تملأ الميزان، وسبحان الله والحمد لله تملآن أو تملأ ما بين السماوات والأرض

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পুরুষদের জন্য জাফরানী রঙ্গের কাপড় পরিধান করতে নিষেধ করেছেন।

لا يَخْلُوَنَّ رجلٌ بامرأةٍ، ولا تسافِرَنَّ امرأةٌ إلا ومعها محرمٌ

যদি সালাত আদায়কারীর সামনে দিয়ে অতিক্রমকারী জানত যে, তা তার জন্য কত পাপ, তাহলে সে সালাত আদায়কারীর সামনে দিয়ে অতিক্রম করার চেয়ে চল্লিশ (দিন/মাস/বছর) দাঁড়িয়ে থাকা উত্তম মনে করত।

ويل للأعقاب من النار أسبغوا الوضوء

আমার উম্মতের ভ্রমণ আল্লাহর পথে জিহাদ করার মধ্যেই

إذا قال المؤذن: الله أكبر الله أكبر، فقال أحدكم: الله أكبر الله أكبر

“যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় এক দিনও সিয়াম পালন করে, আল্লাহ্ তার মুখমণ্ডলকে জাহান্নামের আগুন থেকে সত্তর বছরের দূরত্বে সরিয়ে নেন”।

من نسي صلاة فليصل إذا ذكرها، لا كفارة لها إلا ذلك

“লোকেরা যতদিন শীঘ্র ইফতার করবে, ততদিন তারা কল্যাণের উপর থাকবে”।

إن بين الرجل وبين الشرك والكفر ترك الصلاة

আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে সাহরী খাই এরপর তিনি সালাতের জন্য দাঁড়ান। (বর্ণনাকারী বলেন,) আমি জিজ্ঞেস করলাম, আযান ও সাহরীর মাঝে কতটুকু ব্যবধান ছিল? তিনি বললেন, পঞ্চাশ আয়াত (পাঠ করা) পরিমাণ।

إن العهد الذي بيننا وبينهم الصلاة، فمن تركها فقد كفر

“তোমরা সাহরী খাও, কেননা সাহরীতে বরকত রয়েছে”।

كان النبي صلى الله عليه وسلم يعتكف في كل رمضان عشرة أيام، فلما كان العام الذي قبض فيه اعتكف عشرين يوما

“তোমরা কেউ রমাযানের একদিন কিংবা দু’দিন আগে হতে সাওম শুরু করবে না। তবে কেউ যদি এ সময় সিয়াম পালনে অভ্যস্ত থাকে তাহলে সে সেদিন সাওম পালন করতে পারবে”।

أن امرأة وجدت في بعض مغازي النبي صلى الله عليه وسلم مقتولة، فأنكر رسول الله صلى الله عليه وسلم قتل النساء والصبيان

“যে মহিলা আল্লাহ্ এবং আখিরাতের প্রতি ঈমান রাখে, তার পক্ষে কোন মাহরাম পুরুষকে সাথে না নিয়ে একদিন ও এক রাত্রির পথ সফর করা জায়িয নয়”।

أَتَيْتُ رَسُولَ الله صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ الله، إنَّا بِأَرْضِ قَوْمٍ أَهْلِ كِتَابٍ، أَفَنَأْكُلُ فِي آنِيَتِهِمْ

“সিয়াম পালনকারী ভুলক্রমে যদি আহার করে বা পান করে, তাহলে সে যেন তার সাওম পূর্ণ করে নেয়। কেননা আল্লাহই তাকে খাইয়েছেন এবং পান করিয়েছেন”।

نهى عن النذر، وقال: إنه لا يأتي بخير، وإنما يستخرج به من البخيل

আমি একদা ঈদে ‘উমার ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহুর সাথে ছিলাম, তখন তিনি বললেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই দুই দিনে সাওম পালন করতে নিষেধ করেছেন। (ঈদুল ফিতরের দিন) যে দিন তোমরা তোমাদের সাওম ছেড়ে দাও। আরেক দিন, যেদিন তোমরা তোমাদের কুরবানীর মাংস খাও।

إني والله إن شاء الله لا أحلف على يمين، فأرى غيرها خيرا منها، إلا كفرت عن يميني، وأتيت الذي هو خير

“তোমরা রমাযানের শেষ দশকের বেজোড় রাতে লাইলাতুল কদরের অনুসন্ধান কর”।

أول ما يقضى بين الناس يوم القيامة في الدماء

“আমি দেখছি শেষ সাত রাতে তোমাদের স্বপ্নগুলো মিলে গেছে। অতএব, যে ব্যক্তি এর সন্ধান প্রত্যাশী, সে যেন শেষ সাত রাতে তা সন্ধান করে।”

من قاتل لتكون كلمة الله هي العليا، فهو في سبيل الله

যখন রমযানের শেষ দশক প্রবেশ করত, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতে নিজে জাগতেন, নিজ পরিজনদেরকেও জাগাতেন, কঠোর পরিশ্রম করতেন এবং লুঙ্গি বেঁধে নিতেন।

مَنْ حَلَفَ على يَمِينٍ بِمِلَّةٍ غير الإِسْلامِ كَاذِبًا مُتَعَمِّدًا فهو كما قال

“হে মানুষের রব! কষ্ট দূর করে দিন। আরোগ্যতা দান করুন, আপনিই একমাত্র আরোগ্য দানকারী। আপনার আরোগ্য ব্যতীত অন্য কোন আরোগ্য নেই। এমন আরোগ্যতা দান করুন যা সামান্য রোগকেও অবশিষ্ট না রাখে।”

إذا سمعتم النداء، فقولوا مثل ما يقول المؤذن

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেসব পুরুষকে অভিসম্পাত করেছেন যারা নারীর অনুরূপ পোশাক পরিধান করে এবং সেসব নারীকে অভিসম্পাত করেছেন যারা পুরুষের অনুরূপ পোশাক পরিধান করে।

دعهما، فإني أدخلتهما طاهرتين

“যখন রমযান আসে তখন জান্নাতের দরজাসমূহ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় আর জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং শয়তানগুলোকে শিকলে বন্দী করা হয়।”